এক একটি গাছে ঝুলছে ৩০০-৪০০ টি মাল্টা। কোন কোন গাছে তারও বেশি। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে এভাবে উকি দিচ্ছে সবুজ মাল্টা। হাতে সিকেচার নিয়ে হাস্যোজ্জল মুখে বাগানে কর্মরত চাষি। এমনি দৃশ্য VvKziMuvI †Rjvi হরিপুর Dc‡Rjvi কাঁঠালডাঙ্গীর মাল্টা বেলাল এর বাগান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে পরিবার প্রতিপালনের পাশাপাশি তিন সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেলাল মাস্টার। স্কুলে পুরো সময়টা দেয়ার ফলে কৃষিকাজে ততটা সময় দেয়া হয়ে ওঠেনি তার। কিছুটা অভাব অনটন থাকলেও বিকল্প কোন কিছু ভাবতে পারেননি তিনি। এমনি সংকট সময়ে উপজেলা কৃষি অফিস , হরিপুর ঠাকুরগাঁও এর পক্ষ থেকে উনাকে মাল্টা চাষের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়। তিনি কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পাশে ৪০ শতক জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। এতেই ঘুরতে শুরু করে তার পরিবারের ভাগ্যের চাকা। চারা লাগানোর পরের বছর অল্প কিছু ফল আসলেও মাত্র তিন বছরের গাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা লাভ করেন। এতে উৎসাহিত হয়ে তিনি উপজেলা কৃষি অফিস, হরিপুরের সহযোগিতায় লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এবং নিজস্ব উদ্যোগে বাড়ির পাশে ১.২০ হেক্ট্র বা ৭ বিঘা জমিতে শুরু করেন মাল্টা চাষ। ২০১৮ সালে তিনি ১ লাখ টাকা খরচ করেছেন এবং তার বাগান থেকে নিট আয় হয় প্রায় ৬ লাখ টাকা । তিন ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে এখন তাকে তেমন বেগ পেতে হচ্ছেনা। ইতোমধ্যে বিয়ে দিয়েছেন মেয়েকে। উল্লেখ্য যে, মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিতি হলেও সমতল ভূমিতেও চাষ করে তিনি আশেপাশের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন । পাহাড়সম পথ পাড়ি দিয়ে এখন সফলতার দার প্রান্তে তিনি । তাই বেলাল মাস্টার থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন মাল্টা বেলাল। হরিপুরের কাঠাল্ডাঙ্গি গ্রামের এই শিক্ষক ৪০ শতক জমি থেকে ৭ বিঘায় উন্নিত করেছেন তার বাগান । শুরুটা ২০১৫ সালে মাত্র ১০০ টি গাছের চারা দিয়ে । উপজেলা কৃষি অফিস , হরিপুর, ঠাকুরগাঁও ২০১৫ সালে তাকে একটি ৪০ শতকের প্রদর্শনী প্রদান করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ আগ্রহ প্রকাশ করলে তার বাগান প্রতিষ্ঠিত করায় উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করে । ফলে গত ৫ বছরে তার বাগানের কলেবর বৃধির
উত্তর সমূহ